মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ ,০০২ জন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও কমপক্ষে ২,৩৭৬ জন। নিখোঁজ রয়েছে আরও ৩০ জন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
শনিবার মিয়ানমারের জান্তা সরকার এই তথ্য জানিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।
এদিকে, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) আশঙ্কা করেছে, মিয়ানমারের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াতে পারে।
জাতিসংঘ ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর তাদের আঞ্চলিক সহায়তা কার্যক্রম সক্রিয় করে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ সহায়তা দিতে প্রস্তুত।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দুবাই থেকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়েছে। এদিকে ভারত ভূমিকম্প-পরবর্তী সর্বাত্মক সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-নোয়েল বারো বলেন, সহায়তা পাঠাতে প্রস্তুত ফ্রান্স। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাও ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা করছে। তবে উদ্ধার কার্যক্রম এই ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রবেশের সীমাবদ্ধতায় ব্যাহত হচ্ছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ফুটেজে দেখা যায়, ভূমিকম্প শুরুর পর ব্যাংককে নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়ে। সেই সময় আশপাশের লোকজন আতঙ্কে পালাচ্ছেন; ধুলোয়-ধোঁয়ায় ছেয়ে যাচ্ছে আশপাশ। হোটেলে থাকা অনেকেই গোসলের পোশাক ও সুইমিংয়ের পোশাক পরে দৌড়ে বেরিয়ে আসে।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সময় বেলা ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্প হয়। এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের কেন্দ্র মিয়ানমারের মান্দালয় শহর থেকে প্রায় ১৭ দশমিক ২ কিলোমিটার দূরে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের পর থেকে দেশটিতে কমপক্ষে ১৪টি আফটারশক আঘাত করেছে ।
এসব আফটারশক ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ওই ভূমিকম্প আঘাত হানার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আঘাত হানে, যার মাত্রা ছিল ৩ থেকে ৫। সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প, যা বড় ভূমিকম্পের প্রায় ১০ মিনিট পরে আঘাত করেছে ।
এর মধ্যে দুটি ৪ দশমিক ৯ এবং ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আফটারশক মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় থেকে প্রায় ২০ মাইল দূরে ঘটে, যেখানে যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়। অন্যগুলো প্রধান ভূমিকম্পের উত্তর এবং দক্ষিণে আঘাত হানে