ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসররা দেশে গৃহযুদ্ধ লাগানোর যে চেষ্টা করছে তাদেরকে রুখতেই দেশ জুড়ে পরিচালিত হচ্ছে অপারেশন ডেভিল হান্ট। ভারতে বসে হাসিনা একের পর উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ফেসিস্ট দোসরদের উষ্কে দিচ্ছে বারবার। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হয়েও সরাসরি মানুষ হত্যার কথা বলেন তিনি। আমজনতার বাড়িঘরে হামলা চালানোর নির্দেশনাও দেন তিনি ইতিমধ্যে এই অপারেশনে দেশজুড়ে গ্রেফতার করা হয়েছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীসহ অনেক নেতা।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার সন্ত্রাসী গ্রেফতার হয়েছে বিশেষ এই অপারেশন ডেভিল হান্টে। মূলত গত শুক্রবার রাতে গাজীপুরে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর নড়ে চড়ে বসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঘোষণা দেয় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানের। এরপর শনিবার রাত থেকেই সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়।

হাসিনার উস্কানিমূলক বক্তব্যের জেরে ধানমন্ডির ৩২ গুঁড়িয়ে দেয় ছাত্র-জনতা। এরপরই দেশ জুড়ে সৃষ্টি হয় অরাজ্যকর পরিস্থিতি। সুযোগ সন্ধানী আওয়ামী লীগের দোসররা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। হাসিনার পরিকল্পনা ছিলো দেশে গৃহযুদ্ধ তৈরি করা। ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করা।

কিন্তু হাসিনা আর ভারতের ষড়যন্ত্র বোঝার বাকি নেই বাংলাদেশের। আর তাই দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে সারা দেশে একযোগে পরিচালিত হচ্ছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। এ অপারেশন যৌথভাবে পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবি। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপারেশনে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পতিত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন নষ্ট করতে না পারে সেই জন্য এ অপারেশন পরিচালনা করা হচ্ছে। অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনা করে নেটিজেনদের প্রশংসার জোয়ারে ভাসছে অন্তর্বর্তী সরকার। শিলা আক্তার নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, হাসিনার ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনা করছেন ড. ইউনুস। এটি একজন নোবেল বিজয়ীর পক্ষেই সম্ভব। সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ভারতে বসে যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তা বুঝে গেছে ছাত্র-জনতা। হাসিনা দেশে থেকেই যখন কিছু করতে পারেন নি তখন ভারতে বসে এসব ষড়যন্ত্র করে কোন লাভ হবে না তার। বরং আত্মসমর্পণ করে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ এই স্বৈরাচারের এমনটিই মনে করছেন নেটিজেনরা।