নেট দুনিয়ায় ফাঁদ ফেতে চলছে বিভিন্ন রকম প্রতারণা। কখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আইডি হ্যাক। কখনো বা মোবাইলের নম্বর হ্যাক কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া আইডি খুলে চলছে প্রতারণা। চট্টগ্রাম লোহাগাড়া থানার পদুয়া ইউনিয়ন খন্দকার পাড়ার মৃত সরোয়ার কামালের বড় ছেলে প্রতারক ফরিদুল আলম ঢাকা মিরপুর থেকে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নেট দুনিয়ায় প্রতারণার জাল বিছিয়ে চালাচ্ছে সিরিজ সাইবার অপকর্ম।
প্রতারক ফরিদুল আলমের অন্যতম শিকার সমাজে প্রতিষ্ঠিতরাই। কিন্তু সামাজিক মর্যাদা এবং সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ার ‘ভয়ে’ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না ভুক্তভোগীদের অনেকেই। ফলে প্রতারণার শিকার হওয়ার পরও ধামাচাপা পড়ছে সিংহভাগ ঘটনা।
সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপকমিশনার মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতারণা, অনলাইন ব্যবসার নামে প্রতারণা এবং যোগাযোগ মাধ্যমের নম্বর হ্যাক করে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে প্রতারক ফরিদুল আলমের বিরুদ্ধে।
প্রতারক ফরিদুল আলমের সাইবার অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা গুরুত্ব সহকারে নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৌমিতা পাল বলেন, ‘ প্রতারক ফরিদুল আলমের কয়েক বছর ধরে প্রযুক্তির অপব্যবহার বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। ফলে গাণিতিক হারে বাড়ছে সাইবার অপরাধ।
আমাদের দেশে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়লেও সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর। তাই অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা।’ জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) এবং জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও থানায় অনলাইন প্রতারণাসংক্রান্ত দৈনিক অভিযোগ আসে কমপক্ষে ১০০টি। যার মধ্যে প্রায় সবাই করেন মৌখিক অভিযোগ।
প্রতারক ফরিদুল আলম অভিযোগের উল্লেখযোগ্যই হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আইডি হ্যাক ও যোগাযোগ মাধ্যমের নম্বর হ্যাকিং করে অন্যের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, ইমেইল, মেসেজ বা অন্য মাধ্যমে ভুয়া তথ্য দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নেওয়া (ফিশিং), সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া আইডি তৈরি (আইডি থিফিং) প্রতারণা, সাইবার বুলিং, অনলাইন ব্যবসা এবং অনলাইন জুয়া অন্যতম।