ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ভারতের মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানে নিহত ১৫, আহত ৩৫

পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এসব জায়গা থেকে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল দাবি ভারতের। দেশটির সামরিক বাহিনীর এই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিন্দূর’।
  • আপলোড তারিখঃ 07-05-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 6418 জন
ভারতের মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলায়  পাকিস্তানে নিহত ১৫, আহত ৩৫ ছবির ক্যাপশন: ভারতের মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানে নিহত ১৫, আহত ৩৫


পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কোটলি, ভাওয়ালপুর ও মুজাফ্ফরাবাদে ‘কাপুরুষোচিত’ এ হামলা চালিয়েছে ভারত।
ভারত নিজেদের আকাশ থেকে হামলা করে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিমান বাহিনীর সমস্ত বিমানই আকাশপথে উড়ছে। এই কাপুরুষোচিত এবং লজ্জাজনক হামলাটি ভারতের আকাশসীমার ভেতর থেকে করা হয়েছে। তাদেরকে পাকিস্তানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানিয়েছে, পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদের পাহাড়ি অঞ্চলের কাছে একাধিক বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়  ভারত। এসব জায়গা থেকে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল  দাবি ভারতের। দেশটির সামরিক বাহিনীর এই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিন্দূর’।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জানানো   হয়, “কিছুক্ষণ আগে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিন্দূর’ পরিচালনা করেছে। পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের অবকাঠামোতে আঘাত হানা হয়। যেখান থেকে ভারতের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেছিল পাকিস্থান। সব মিলিয়ে ৯টি জায়গায় হামলা করেছে পাকিস্থান।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এই হামলাগুলো নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক, পরিমিত এবং উত্তেজনা এড়ানোর লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রিত ছিল। কোনো পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানা হয়নি।”

ভারতের পক্ষ থেকে হামলার ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু না বলা হলেও পাকিস্তান জানিয়েছে, তিনটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ভারত।

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগের (আইএসপিআর) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানিয়েছেন, “ভারত মধ্যরাতে কোটলি, ভাওয়ালপুর ও মুজাফফরাবাদে কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে।” খবর ডনের। 

তিনি জানান, এক শিশু নিহত ও দুই নারী-পুরুষ আহতসহ  ১৫ জন নিহত হয়েছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আরও একজন মুখপাত্র জিও টেলিভিশনকে বলেন, পাঁচটি স্থানে হামলা হয়েছে, যার মধ্যে দুটি মসজিদ রয়েছে। প্রাথমিক তথ্যে ১৫ জন নিহত ও ১২ জন আহত হওয়ার কথা জানা গেছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আজাদ কাশ্মিরের রাজধানী মুজাফফরাবাদের পাহাড়ি এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যায়। বিস্ফোরণের পরপরই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।


ভারতের দাবি, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরে হিন্দু পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। সেই ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবেই এই অভিযান চালানো হয়।

পাকিস্তান ওই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং জানায়, ভারত হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে—এমন গোয়েন্দা তথ্য তাদের হাতে ছিল।

ভারতের সেনাবাহিনী তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে হামলার পর একটি বার্তায় লিখেছে: “ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে। জয় হিন্দ।”

এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিন্দুর’ শুরু করেছে। এর আওতায় পাকিস্তান ও পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের নয়টি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। ভারত সরকার বুধবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর কোনো স্থাপনাকে নিশানা করা হয়নি।

 


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ সেরা খবর

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদ্ণ্ড খালাস বাঁকি তিন আসামী